সর্বশেষ আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

উঠানে বাবার লাশ রেখেই সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব ৫ সন্তানের

বাড়ির উঠানে বাবার লা’শ রেখেই সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত ৫ হয়েছেন সন্তানরা। এমনকি সম্পত্তির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত লা’শ দাফনেও বাধা দেন ৪ সন্তান।

মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় মৃ’ত্যু হলেও বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত বাড়ির উঠানেই পড়ে থাকে লা’শ। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং গণ্যমান্যরা দফায় দফায় সালিশের মাধ্যমে দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা পর সন্তানরা লা’শ দাফনের সিদ্ধান্তে উপনীত হন। কিন্তু ততক্ষণে খবর পেয়ে থা’না থেকে পু’লিশ এসে ময়নাত’দন্তের জন্য লা’শটি থা’নায় নিয়ে যায়।

বৃদ্ধের সন্তানদের এমন কী’র্তিতে হতবাক হয়ে গেছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

ম’র্মা’ন্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজে’লার দেবগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ চর পাঁচু’রিয়ার অম্বলপুর গ্রামে। মৃ’ত ব্যক্তির নাম ইয়াছিন মোল্লা (৮৫)। তার ২টি ছে’লে ও ৩টি মে’য়ে রয়েছে। কিন্তু ইয়াসিন মোল্লা ইতোপূর্বে তার বসতবাড়ি ও মাঠের জমিজমাসহ মোট ৬০ শতাংশ জমি তার ছোট ছে’লের নামে লিখে দেন।

স্থানীয়রা জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ইয়াছিন মোল্লার ৫ সন্তানের মধ্যে বড় ছে’লে বাবলু মোল্লা, ফুলবড়ু বেগম, রাবেয়া বেগম ও মমতাজ বেগমের সঙ্গে ছোট ছে’লে রহমান মোল্লার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের কারণে রহমান বাড়িতেও টিকতে পারেননি। তিনি গোয়ালন্দ পৌর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

এ বিরোধের জেরেই মৃ’ত ব্যক্তির লা’শ দাফন না করে আ’ট’কে রাখার ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা পর দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাফিজুল ইস’লামের হস্তক্ষেপে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা হলেও স্থানীয়দের খবরে গোয়ালন্দ ঘাট থা’না পু’লিশ লা’শটি উ’দ্ধার করে জিডি মূলে ময়নাত’দন্তের জন্য রাজবাড়ী ম’র্গে পাঠায়।

মৃ’ত ইয়াছিন মোল্লার বড় ছে’লে বাবলু মোল্লা, মে’য়ে ফুলবড়ু বেগম, রাবেয়া বেগম ও মমতাজ বেগম অ’ভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাবা ছোটভাই রহমান মোল্লার কাছে থাকেন। সেই সুযোগে সে বাবাকে ফুঁসলিয়ে তার সব সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়েছে।

এ নিয়ে রাজবাড়ীর আ’দালতে আম’রা একটা মা’মলাও করি। সেই মা’মলায় গত ৫ জুলাই আ’দালত বাবাকে হাজির হতে নির্দেশ দিলেও অ’সুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।

অ’সুস্থতার খবরে আম’রা বাবাকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে চাইলেও ছোটভাই আমাদের কথা না শুনে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা করায়। আমাদের ধারণা, ছোটভাই রহমান ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাবাকে মে’রে ফেলেছে।

এ প্রসঙ্গে মৃ’ত ব্যক্তির ছোট ছে’লে রহমান মোল্লা বলেন, গত শুক্রবার হঠাৎ করে বাবা অ’সুস্থ হলে তাকে গোয়ালন্দে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে ডাক্তার দেখাই। এ সময় ডাক্তার কিছু টেস্ট ও ওষুধ লিখে দেন এবং বাবাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করাতে বলেন। আমি সেই অনুযায়ী বাবাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করাচ্ছিলাম।

গত মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে বাবা বেশি অ’সুস্থ হয়ে পড়লে আমি তাকে গোয়ালন্দ উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক বাবাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন। অ’সুস্থতাজনিত কারণে তার স্বাভাবিক মৃ’ত্যু হয়েছে। আমা’র ভাই-বোনেরা আমা’র বি’রুদ্ধে মিথ্যা অ’ভিযোগ করছেন। আমা’র বাবা সুস্থ অবস্থায়-সজ্ঞানে আমা’র নামে বাড়ি ও জমি লিখে দিয়ে গেছেন।

এ প্রসঙ্গে দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাফিজুল ইস’লাম বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এ ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমি ঘটনাস্থলে যাই। লকডাউনের পরে তাদের জমি-জমা’র বিষয়টির সমাধান করে দেব বলে আশ্বস্ত করি। পরে স্ট্যাম্পে ৫ ভাই-বোনের স্বাক্ষর নিয়ে মৃ’ত ইয়াছিন মোল্লার দাফনের সিদ্ধান্ত নেই। এ সময় ঘটনাস্থলে থা’না পু’লিশ উপস্থিত হয়ে মৃ’ত ব্যক্তির লা’শ ময়নাত’দন্তের জন্য নিয়ে যায়।

গোয়ালন্দ ঘাট থা’নার এসআই মো. মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লা’শ উ’দ্ধার করে জিডি মূলে ময়নাত’দন্তের জন্য লা’শটি রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ম’র্গে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: